ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে গুলিতে নিহত হন পলাশ

দৈনিক মার্তৃভূমির খবর
আপলোড সময় : ২৯-০৭-২০২৪ ১১:৪৪:১০ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-০৭-২০২৪ ১১:৪৪:১০ পূর্বাহ্ন
মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে গুলিতে নিহত হন পলাশ
ছেলের ছবি হাতে ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে অঝরে কেঁদে চলেছেন মা বেনু বেগম। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার মিরপুর থেকে রওনা হয়েছিল ছেলে ফিরোজ তালুকদার পলাশ (৩৮)। তবে বিধিবাম, সেদিন শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে পড়ে পুলিশের ছোড়া গুলিতে মারা যান পলাশ।

রোববার (২৮ জুলাই) বিকেলে কোটা আন্দোলনে নিহত পলাশের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দি এলাকায় তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পলাশের মা বেনু বেগম ছবি হাতে নিয়ে কান্না করছে। বাড়িতে সুনসান নিরবতা। একটি কাচা টিনের ঘরে পলাশের মা বসবাস করেন। তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে প্রতিবেশীরা। তবে পলাশের স্ত্রীকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। স্বামীর অবর্তমানে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে পলাশের মৃত্যুর কয়েকদিন পরই কর্মস্থলে যোগ দিতে হয়েছে স্ত্রী রেশমা খাতুনকে।

জানা গেছে, ৫ বছর আগে নিহত পলাশ ঢাকার মিরপুর ১২ এলাকায় রংপুর কেমিক্যাল কোম্পানিতে অফিস সহায়ক (পিয়ন) হিসেবে চাকরি করে আসছেন। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) সারাদেশে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুরো দেশ যখন টালমাটাল ঠিক তখনই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পলাশের মন অস্থির হয়ে ওঠে। মায়ের সাথে দেখা করতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় মিরপুর-১০ এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হঠাৎ পুলিশের ছোড়া গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে পলাশ। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মিরপুরের আলোক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পলাশের ব্যবহৃত মোবাইলে থাকা তার মায়ের নম্বরে ফোন করে জানানো হয় তার ছেলে মারা গেছে। পলাশের স্ত্রী খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে স্বামীর মরদেহ দেখতে পায়। ওই দিন গভীররাতেই অ্যাম্বুলেন্সে পলাশের মরদেহ আনা হয় তাদের গ্রামের বাড়িতে। পরেরদিন শনিবার (সকালে) ঘাটান্দির তালুকদার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ